You are currently viewing What is Subnet Mask and how does its works?

What is Subnet Mask and how does its works?

এই পোস্টে আমরা Subnet Mask কি এবং কি কাজে লাগে, Subnet Mask কিভাবে কাজ করে এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।

What is Subnet Mask?

আমরা যখন কোনো সিস্টেমে IPv4 Address সেট করি তখন ডিফল্ট Subnet Mask হিসেবে নিচের অ্যাড্রেস সমূহ দিতে হয়। আর মজার বিষয় হচ্ছে, উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে ‘Subnet Mask’ আমাদের বসানো আইপি (IPv4) অ্যাড্রেসের উপরে ভিত্তি করে সিস্টেম নিজে থেকেই বসিয়ে নেয়। IPv4 এর ক্লাস অনুযায়ী নিচে প্রতিটি ক্লাসের ডিফল্ট সাবনেট মাস্ক দেওয়া হয়েছেঃ

  • Class “A” এর জন্য 255.0.0.0
  • Class “B” এর জন্য 255.255.0.0
  • Class “C” এর জন্য 255.255.255.0

এবং একটা আইপি অ্যাড্রেসের (Single IP) এর জন্য 255.255.255.255 ব্যবহার করা হয়।

Why Need Subnet Mask?

এখন আমরা জানবো Subnet Mask আসলে কি কাজে লাগে?

o  নেটওয়ার্ক/সাব-নেটওয়ার্ক আইডি বের করার জন্য।
o  সাব-নেটওয়ার্ক (Subnet) নাম্বার বের করার জন্য।
o  নেটওয়ার্ক/সাব-নেটওয়ার্ক বিট এবং হোস্ট বিট জানার জন্য।
o  নেটওয়ার্কের হোস্ট আইপি অ্যাড্রেস সংখ্যা জানার জন্য।
o  নেটওয়ার্কের/সাব-নেটওয়ার্কের প্রথম আইপি অ্যাড্রেস টা বের করার জন্য।
o  নেটওয়ার্কের/সাব-নেটওয়ার্কের সর্বশেষ ব্যবহার যোগ্য আইপি অ্যাড্রেসটি বের করার জন্য।
o  নেটওয়ার্কের/সাব-নেটওয়ার্কের ব্রডকাস্ট আইপি অ্যাড্রেস বের করার জন্য।
o  নেটওয়ার্কের সাইজ ছোট অথবা বড় করার জন্য।

How the Subnet Mask Works?

যখন সিস্টেমে IP address এবং Subnet Mask বসানো হয় তখন এটা ডেসিমেল (0-9) ফরম্যাটে থাকে। এই জন্য আমাদের বুঝতে কোনো সমস্যা হয় না। কিন্ত কম্পিউটার বা নেটওয়ার্ক ডিভাইস সমূহ বাইনারি ল্যাংগুয়েজ (0, 1) বুঝে, এই জন্য সিস্টেমে আমাদের বসানো ডেসিমেল (0-9) ভিত্তিক আইপি অ্যাড্রেস কনভার্ট করে বাইনারীতে (0, 1) রূপান্তর করে। নিচের চিত্রে সিস্টেম কিভাবে ডেসিমেল ভিত্তিক আইপি (IPv4) অ্যাড্রেসের বিপরীতে বাইনারি অ্যাড্রেস রূপান্তর করে, সেটা দেখানো হয়েছেঃ

যখন আমরা IP address এবং Subnet Mask কম্পিউটারে বা ডিভাইসে বসাই তখন বাইনারী IP address এবং বাইনারী Subnet Mask এর মধ্যে “ANDING” (লজিক গেট) অপারেশন করে। আর এই IP Address এবং Subnet Mask এর “ANDING” অপারেশনের মাধ্যমে TCP/IP প্রোটোকল নেটওয়ার্ক আইডি টা বের করে নেয়, আর নেটওয়ার্ক আইডি (Net ID) বের করতে পারলে নেটওয়ার্ক অ্যাড্রেস সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য বের করা যায়।

Figure: AND Operation of IP Address and Subnet Mask

উপরের চিত্রে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, ডেসিমেল আইপি (IPv4) অ্যাড্রেস (192.168.10.10) এবং সাবনেট মাস্ক কে (255.255.255.0) প্রথমে বাইনারীতে রুপান্তর করা হয়েছে। তারপরে বাইনারী আইপি (IPv4) অ্যাড্রেস এবং বাইনারী সাবনেট মাস্কের মধ্যে লজিক্যাল ANDING অপারেশন চালানো হয়েছে, ফলে AND গেটের নিয়ম অনুসারে একটা বাইনারী আউটপুট (Equals) পাওয়া গেছে। আর এই আউটপুটকে পুনরায় বাইনারী থেকে ডেসিমেলে রুপান্তর করলে পাওয়া যাচ্ছে ‘192.168.10.0’ যেটাকে বলা হয়, Network Address বা নেটওয়ার্ক আইডি। আর নেটওয়ার্ক আইডি বের করতে পারলে আইপি (IPv4) অ্যাড্রেসের যাবতীয় তথ্য বের করা যাবে।

উদাহরণ হিসেবে উপরের আউটপুটে আমরা নেটওয়ার্ক আইডি পেলাম ‘192.168.10.0’ এখন এই নেটওয়ার্ক আইডির উপরে ভিত্তি করে নিচের সকল তথ্য পাওয়া যাবেঃ

  • Network ID = 168.10.0
  • Network Bits = 24
  • Hosts Bits = 8 (যেহেতু হোস্ট পার্টের 8 বিট ‘0’ )
  • Total Possible Host Address = 28 (256)
  • 1st Host IP = 168.10.1
  • Last IP Address of this Network (Broadcast IP) = 168.10.255
  • Last Usable IP Address of this Network = 168.10.254

নোটঃ উপরের সকল আউটপুট আমরা ‘192.168.10.0’ আইপি (IPv4) অ্যাড্রেস এবং ‘255.255.255.0’ সাবনেট মাস্কের বিপরীতে পেলাম। কিন্ত, আইপি (IPv4) অ্যাড্রেস একই রেখে যদি সাবনেট মাস্ক পরিবর্তন করে ‘255.255.0.0’ দেওয়া হয়, তাহলে আউটপুট টা কেমন হয় সেটা এখন আমরা দেখবো।

  • Network ID = 168.0.0
  • Network Bits = 16
  • Hosts Bits = 16 (যেহেতু হোস্ট পার্টের 16 বিট ‘0’ )
  • Total Possible Host Address = 216 (65,536)
  • 1st Host IP = 168.0.1
  • Last IP Address of this Network (Broadcast IP) = 168.255.255
  • Last Usable IP Address of this Network = 168.255.254

নোটঃ সবশেষে আমরা জানলাম সাবনেট মাস্কের ভ্যালু পরিবর্তন করে নেটওয়ার্কের সাইজ ছোট এবং বড় করা যায়। যদি সাবনেট মাস্ক 255.0.0.0 করা হয় তাহলে নেটওয়ার্কের সাইজ বড় হবে, আর যদি সাবনেট মাস্ক 255.255.255.0 করা হয় তাহলে নেটওয়ার্কের সাইজ ছোট হবে। আর এক্ষেত্রে আইপি (IPv4) অ্যাড্রেস যে ক্লাসের হউক না কেন সমস্যা নাই।